পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর পূর্ণ সদস্য এবং টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ ফর্ম্যাটে অংশগ্রহণ করে।

২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাবর আজম পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সকল ফর্ম্যাটের ক্যাপ্টেন। তিনি ব্যাটিংয়ে অসাধারণ দক্ষতা এবং নেতৃত্বের জন্য পরিচিত।

পাকিস্তান ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করে। ইমরান খানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।

ওয়াসিম আকরামকে পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ৫০২টি আন্তর্জাতিক উইকেট নেন এবং সুইং বলের মাস্টার হিসেবে খ্যাত।

গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (লাহোর) এবং ন্যাশনাল স্টেডিয়াম (করাচি) পাকিস্তানের প্রধান হোম ভেন্যু। তবে নিরাপত্তার কারণে, তারা ইউএইয়ে অনেক সিরিজ আয়োজন করে।

পিএসএল ২০১৬ সালে চালু হয়। এটি পাকিস্তানের প্রিমিয়ার টি২০ লিগ এবং লাহোর কালান্দার্স, ইসলামাবাদ ইউনাইটেডসহ ৬টি দল নিয়ে গঠিত।

জাভেদ মিয়াঁদাদ, ইনজামাম-উল-হক, শোয়েব আখতার, ওয়াকার ইউনুস, এবং শাহিদ আফ্রিদির মতো খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে অবিস্মরণীয়।

পিসিবি দেশের ক্রিকেট পরিচালনা, দল গঠন, ম্যাচ সূচি নির্ধারণ, এবং যুব ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। এটির সদর দপ্তর লাহোরে অবস্থিত।

পাকিস্তান মহিলা দল ২০০৯ সালে মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছায়। বিসমাহ মারুফ ও সিদরা আমিনের মতো খেলোয়াড়রা দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে।

২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান ৭২৮ রান করে, যা তাদের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস স্কোর। শান মাসুদ ও ইউনুস খানের ডাবল সেঞ্চুরি এই ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচগুলি সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও, এই ম্যাচগুলি বৈশ্বিকভাবে ব্যাপক দর্শক আকর্ষণ করে।

২০০৯ সালে লাহোর উপর আতঙ্কবাদের হামলার পর, পাকিস্তান UAE-কে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আবার স্থানীয় ম্যাচ আয়োজনে ফিরেছে।

ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে, আইপিএল নিলামে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ২০০৮ সাল থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে।